আতঙ্কে ঘরছাড়া ৩ গ্রামের মানুষ, সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন রোহিঙ্গারা|ডিএনএন

 


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ (কক্সবাজার)


দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত। শনিবার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাত-সংঘর্ষ থামছেই না। দুই বাহিনীর গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে সীমান্তজুড়ে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া হচ্ছে গুলি ও মর্টার শেল। গুলির মুহুর্মুহু শব্দে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ঘর ছেড়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষ। এরইমধ্যে দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছুটে আসা একটি মর্টার শেলের আঘাতে নিহত হয়েছেন স্থানীয় জলপাইতলী গ্রামের গৃহবধূ ও এক রোহিঙ্গা। এসময় আহত হয় এক শিশুও।


মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতায় টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় এক রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে বিজিবি। এরআগে মিয়ানমার বিদ্রোহীদের প্রচণ্ড গোলাগুলির মুখে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৯৫ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য। তাদের মধ্যে আহত ৯ জনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।


সূত্র বলছে, চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে বসবাস করা মিয়ানমারের চাকমা জাতি ও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় জড়ো হচ্ছেন। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।


এদিকে সীমান্তে মর্টার শেলে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানানোর কথা জানিয়েছেন রিজিওয়ান কমন্ডার।

মন্তব্যসমূহ