প্রেসার-সুগার নিয়ন্ত্রণে খান আম পাতা|ডিএনএন

 


আম কমবেমি সবাই পছন্দ করেন! কিন্তু আম পাতা কয়জন খান? এই ভুলটা করেন বলেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন। আম পাতা খেলে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি বশে থাকবে প্রেশার। তাই পেসার-সুগার নিয়ন্ত্রণে খান আম পাতা। সেই সঙ্গে আর কী কী উপকার পাবেন, চলুন তা জেনে নিই-

​বশে থাকবে সুগার​

স্বাস্থ্যের ভিলেন হল হাই ব্লাড সুগার। তাই যেন তেন প্রকারে রক্তে শর্করার লেভেলকে বশে রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে আম পাতা। কারণ এই পাতায় রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান যা কিনা রক্তে সুগার বাড়তে দেয় না। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ৩বিটা টারাক্সেরল এবং ইথাইল অ্যাসিটেট নামক দুটি উপাদানও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়াবেটিক রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতা সেবন করুন।

​প্রেশারের মহৌষধ

হাই ব্লাড প্রেসার হল নীরব ঘাতক। এই রোগকে বশে না রাখলে অচিরেই হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ডিজিজ, স্ট্রোক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই যেভাবেই হোক প্রেশারকে কন্ট্রোল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে হাইপোটেনসিভ উপাদান সমৃদ্ধ আম পাতা। তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত এই পাতা সেবন করতে ভুলবেন না যেন।

পেটে আলসার হবে না

আজকাল অনেকেই পেটের আলসারের ফাঁদে পড়ে ভীষণই কষ্ট পান। তবে ভালো খবর হল, এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারে আম পাতা। তাই পেটের আলসারে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি রোজের ডায়েটে আম পাতাকেও জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

তবে শুধু আলসার নয়, এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হেঁচকি বন্ধ করার কাজে ওস্তাদ। তাই এবার থেকে অনবরত হেঁচকি উঠলে এই পাতার শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন।

ওজন কমবে

শরীরে মেদের বহর বাড়লে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমাতে হবে। আর এই কাজে আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে আম পাতা। কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ায়। আর মেটাবোলিজম রেট বাড়লে যে অচিরেই ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই আজ থেকেই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে এই পাতাকে জায়গা করে দিন।

আম পাতা কীভাবে খাবেন?

উপকার পেতে চাইলে ১-২টি কচি আম পাতা ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর ওইসব টুকরো পানির সাহায্যে গিলে নিলেই হবে কেল্লাফতে। আবার চাইলে কয়েকটি কচি আম পাতা দিয়ে চা বানিয়েও সেবন করতে পারেন। এই কাজটা করলেও কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরে যাবে। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই আম পাতা সেবন করুন। 

মন্তব্যসমূহ