হ্নীলা কাস্টমস ঘাট সীমান্তে ২লাখ ইয়াবা উদ্ধার

 

নিজস্ব প্রতিনিধি /হ্নীলা : টেকনাফের হ্নীলা কাস্টমস ঘাট সীমান্তে সন্ধ্যা রাতে বিজিবি-মাদক কারবারী গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মাদক কারবারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থল হতে ২লাখ পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৭মার্চ রাত ৮টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হ্নীলা বিওপির টহল দল কাষ্টমস ঘাট এলাকার শ্মশান ঘাটে নিয়মিত টহলদানকালে একটি কাঠের নৌকাযোগে ৩/৪জন ব্যক্তি এসে নৌকা হতে বস্তা নামাতে দেখে দাড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকাসহ আরোহীরা মিয়ানমারের দিকে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি জওয়ানেরা ৪ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। মাদক কারবারীরাও বিজিবি জওয়ানদের লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে মিয়ানমারের নাগাকুরা দ্বীপে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে ২লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

কাস্টমস ঘাট মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসা এক মুসল্লী জানান,আমরা অজু করে মসজিদে প্রবেশের সময় হঠাৎ পাশে গোলাগুলির বিকট শব্দ এবং কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে আতংকিত হয়ে পড়ি। পাশর্^বর্তী এলাকার অনেক মানুষ ভয়ে পালাতে থাকে। সন্ধ্যারাতে মাদক কারবারীদের এই ধরনের অপতৎপরতায় সাধারণ মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম) জানান, জব্দকৃত এসব মাদক পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।

এলাকাবাসীর ধারণা,স্থানীয় কোন শক্তিশালী মাদক কারবারী সিন্ডিকেট কৌশলে বড় ধরনের মাদকের চালান আনছিল। বিজিবির প্রতিরোধের মুখে পড়ে মাদকের চালান ফেলে প্রাণ রক্ষার্থে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এসব চত্রের অপতৎপরতা তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রকৃত এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন।

মন্তব্যসমূহ