উখিয়ার পালংখালি এলাকা থেকে ১২০ কোটি টাকা মূল্যমানের অবৈধ মাদক আইস

 

👨‍💼 উখিয়া প্রতিনিধিঃ

র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল গত রাতে উখিয়ার পালংখালির সফিউল্ল্যাহ কাটা সংলগ্ন এলাকার ইরান মাঝির আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা মূল্যমানের ২৪.২ কেজি আইসসহ কক্সবাজার কেন্দ্রিক আইস চোরাচালানের অন্যতম হোতা ১। ইমরান ওরফে ইরান মাঝি, ও তার সহযোগী মোঃ রুবেল ওরফে  ডাকাত রুবেল,  উভয়ের পিতাঃ মৃত সিরাজুল ইসলাম, উখিয়া, কক্সবাজার,  মোঃ আলাউদ্দিন, পিতাঃ মৃত আলী আহাম্মদ, রাজপালং, উখিয়া, কক্সবাজার এবং ৪। জয়নাল আবেদীন ওরফে  কালা বদা (৩৭), পিতাঃ মৃত আব্দুল করিম, টেকনাফ, কক্সবাজারদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 

 

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক চোরাচালান চক্রের যোগসাজসে দেশে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সাথে জড়িত। মূলত গ্রেফতারকৃত ইরান মাঝি এই চক্রের মূল হোতা। ইরান মাঝির নেতৃত্বে চক্রটির বেশ কয়েকজন সদস্য কক্সবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিস্টাল আইসসহ অন্যান্য ভয়ংকর মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। ইরান মাঝির নেতৃত্বে মাদক গ্রহণ করে অবৈধ পথে ঘুমধুম সীমান্ত হয়ে মাদকগুলো বর্ডারের নিকটবর্তী গোপন স্থানে জমা করে। সেখান থেকে দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল/নৌপথে বিভিন্ন কৌশলে ক্রিস্টাল আইসসহ অন্যান্য মাদক কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখত। সুবিধাজনক সময়ে চক্রটি মাদকের চালানগুলো ইরান মাঝির জামতলির সফিউল্লাহ কাটা সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকার বাড়িতে/আস্তানায় নিয়ে আসত। অতঃপর বিভিন্ন উপায়ে শরীরের মধ্যে বেধে, গাড়িতে সেট করে এবং যোগান হিসেবে রাজধানীমুখী বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করত। সর্বশেষ গতকাল আইসের চালানটি চার ভাগে ভাগ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের এজেন্টদের নিকট পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। 

   

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি, অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা সংক্রান্ত একাধিক মামলা এবং কারাভোগের রেকর্ড আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্যসমূহ