টেকনাফে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ


 👨‍💼মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ: টেকনাফ প্রতিনিধি 


সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় সদর ইউনিয়নের হাবিব পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আহমদ সাগর পাড়ে জাল ফেলে। এতে পোয়া মাছটি তার জালে আটকা পড়ে বলে জানান।


আজ শুক্রবার ভোরে জালে ধরা পড়া মাছটি দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাটে নিয়ে আসলে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন। প্রথমে মাছটি সাত লাখ টাকা দাম হাঁকালেও পরে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী চার লাখ টাকায় কিনে নেন।


জেলে সৈয়দ আহমদ বলেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাতে ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাগরের অদূরে বুক সমান পানিতে নেমে কয়েকজন জেলে জাল ভাসায়। আজ শুক্রবার ভোরে জাল তোলার সময় বড় পোয়া মাছটি দেখতে পায়। পোয়া মাছটি এক ব্যবসায়ী চার লাখ টাকায় কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, হয়তো তার কাছে বিক্রি করে দেবো।


স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছগুলো অবাধ বিচরণ করছে। অনেক বড় মাছ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসছে। তাই সাগরের খুব কাছেই জাল ফেললে এসব মাছ ধরা পড়ছে।


প্রসঙ্গত, টেকনাফ উপকূলে প্রতিবছর দুই-চারটা এ ধরনের বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির কদর রয়েছে।'

মন্তব্যসমূহ