টেকনাফ নিউজ,কক্সবাজার নিউজ,সারাদেশ, আন্তর্জাতিক, মাদক টেকনাফ, দৈনিক নাফ নিউজ, উখিয়া, পর্যটন, শিক্ষা, হ্নীলা,

Advertisement

test

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, মে ১২, ২০২৪

আজ বিশ্ব মা দিবস |ডিএনএন

 


একটি শিশু জন্মের আগে থেকেই মায়ের সান্নিধ্যে অভ্যস্ত হতে থাকে একটু একটু করে। মায়ের ভেতর বেড়ে ওঠার সময়টা থেকেই সন্তানের যে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় মায়ের সঙ্গে, জন্মের পর সেটা ধীরে ধীরে কেবল বাড়তেই থাকে। মা আমাদের অস্তিত্বের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হন। আজ সেই মায়েদের জন্যই বিশেষ একটি দিন, আজ মা দিবস। বিশ্বজুড়ে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার দিবসটি পালিত হয়। 

আব্রাহাম লিংকনের একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে- যার মা আছে সে কখনই গরীব নয়। অর্থাৎ কেবল মায়ের আশ্রয় থাকলেই বন্ধুর পথের নানা বিপদ পাড়ি দেওয়া যায় সহজেই। মা থাকা মানে সবচেয়ে বড় ভরসা ও ভালোবাসার জায়গাটি অক্ষুণ্ণ থাকা। আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কাছেই। সামর্থের সবটুকু দিয়ে হলেও মা দেখতে চান সন্তানের হাসিমাখা মুখ। যিনি মা হারিয়েছেন, তিনি যেন নিজের একটি অংশকেই হারিয়ে ফেলেছেন। যদিও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা চাই প্রতিটি দিনই, তবুও একটি বিশেষ দিন যেন আমাদের মায়ের জন্য আবেগ প্রকাশের কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়। মা দিবস আমাদের আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দেয় সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি দায়িত্ব ও সম্মানের কথা। এদিন একটু বিশেষ কিছু করে মাকে খুশি করতে দোষ নেই।

পৃথিবীর মধুরতম ডাক মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল।

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস।

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Your Ad Spot

পৃষ্ঠাসমূহ