সেন্টমার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুর পুর্নবাসনে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান


🤵‍♂️মোঃ আরাফাত সানি/টেকনাফ প্রতিনিধি।

টেকনাফ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতাতায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে বেওয়ারিশ কুকুর টেকনাফের মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের কাজ করা হচ্ছে। রবিবার (২৭ মার্চ) টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী উক্ত পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিনের ৩০ টি কুকুর টেকনাফে নিয়ে আসা হবে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মুহিব উল্লাহ।

এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাইছার খসরু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহিব উল্লাহ, এমওডিসি ডা.প্রণয় রুদ্র, স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান,ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়দের কামড় দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তা ছাড়া সৈকতে ডিম দিতে আসা কচ্ছপগুলো হুমকির মুখে রয়েছে।ফলে সুন্দর উপায়ে দ্বীপ থেকে কুকুর পুনর্বাসন কাজ শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামী ১ সাপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরও জানান, দ্বীপ থেকে অন্তত অর্ধেক কুকুর সরানোর চেষ্টা চলছে এবং কুকুরগুলো সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের মূল ভূখণ্ডের সাবরাং,শাহপরীর দ্বীপ, ঘোলারচর ও বাহারছড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসন করা হবে,যাতে কুকুরগুলোও অভুক্ত না থাকে।

দ্বীপ বাসিরা জানান, সেন্টমার্টিনে ১০ হাজার মানুষের বসবাসের পাশপাশি প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটকদের আনাগোনা। কিন্তু দ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুর আছে ৩-৪ হাজারের বেশি।প্রতিদিন সন্ধ্যায় কুকুরগুলো একসাথে চিৎকার দিয়ে উঠে,এতে ভ্রমণে আসা নারী ও শিশুরা আতঙ্কবোধ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। এই ২ মাসে প্রায় শতাধিকের বেশি পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। বিশেষ করে সৈকতে ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপসহ হাঁস,মুরগি,মাছ খেয়ে ফেলছে কুকুর।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহিব উল্লাহ জানান, কুকুরগুলোকে স্থানান্তরিত করার পরও যাতে খাবারের সংকট তৈরি না হয় তাই জনপদ অর্থাৎ যেখানে মানুষের বসবাস রয়েছে তেমন কোনো এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এছাড়াও কুকুর নিধন কর্মসূচি পরবর্তী কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কাজ শুরু করা হবে।

মন্তব্যসমূহ