টেকনাফ নিউজ,কক্সবাজার নিউজ,সারাদেশ, আন্তর্জাতিক, মাদক টেকনাফ, দৈনিক নাফ নিউজ, উখিয়া, পর্যটন, শিক্ষা, হ্নীলা,

Advertisement

test

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, এপ্রিল ১২, ২০২৩

৯৫ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা ইয়াবা সম্রাজ্ঞী ফাতেমা ও তার এক সহযোগীক গ্রেফতার।

 

টেকনাফ প্রতিনিধিঃ গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫ টা ৩৫ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌর এলাকার খানকার ডেইল এলাকায় অবস্থিত   বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত ও দেশব্যাপী ইয়াবা সাপ্লায়ার রোহিঙ্গা তরুণী কানিজ ফাতেমা (৩১)কে আটক করা হয়। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী এবং সম্পর্কে তার দেবর নাছির উদ্দিন পিন্টু (২৯) র‍্যাব কর্তৃক ধৃত হলেও  পালিয়ে যান অপর তিন সহযোগী জয়নাল আবেদীন (৩৭), আব্দুল আজিজ (৩১) ও মোহাম্মদ আয়াছ (২৫)।

 

গ্রেফতারের পর ফাতেমা ও পিন্টুর স্বীকারোক্তিমতে তাদের হেফাজত হতে মোট ৯৫ হাজার ৬ শত ৭০ পিস নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা বড়ি ও ৮৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আরো জব্দ করা হয় ইয়াবা বিক্রয়ের মাধ্যমে আয়কৃত সর্বমোট ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা।


মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান দেশে আনার অন্যতম প্রধান কুশীলব রোহিঙ্গা তরুণী ফাতেমা ও তার স্বামী জয়নাল। ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি চলতো তাদের জাল টাকার রমরমা ব্যবসাও। দীর্ঘদিন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও সুকৌশলী ফাতেমা বরাবরই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গতকাল ফাতেমা, পিন্টুসহ পলাতক ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ইয়াবা পাইকারি কেনাবেচার উদ্দেশ্যে জড়ো হলে র‍্যাব সেখানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে। এ সময় অন্য তিনজন র‍্যাবের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দৌড়ে পালিয়ে যান। 


আটককৃত আসামি  ফাতেমা (রোহিঙ্গা) স্বামী - জয়নাল আবেদীন, আটক নাছির উদ্দিন পিন্টু ও পলাতক জয়নাল আবেদীন, উভয় পিতা- ইমাম হোসেন, পলাতক  আব্দুল আজিজ পিতা - মতুল হোছন এবং পলাতক  মোহাম্মদ আয়াছ- পিতা আজিজুর রহমান সর্ব গ্রাম খানকার ডেইল, ৯ নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, কক্সবাজার। আটক নাছির সম্পর্কে ফাতেমার দেবর এবং পলাতক আসামি জয়নাল সম্পর্কে ফাতেমার স্বামী।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা  ইয়াবা ও জাল টাকার কারবারের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। আটক ও পলাতক ৫ আসামীর বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য আইনের ৩৬(১) এর সারণির ১০(গ) ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ক)ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদেরকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Your Ad Spot

পৃষ্ঠাসমূহ