টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আইসসহ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি কারেন্ট জাল ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার

 

টেকনাফ প্রতিনিধিঃ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত হয়ে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা পেয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে *১.০৬৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি কারেন্ট জাল এবং ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়।  


গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৯ হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে ন্যাচারী পার্ক (ডবল জোড়া) নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি’র দুইটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদল আনুমানিক ১১৫০ ঘটিকায় দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকা যোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন অতিক্রম করে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। উক্ত সময় টহলদল নৌকাটিকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিগণ নৌকা হতে নাফ নদীতে লাফিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌকাটি তল্লাশী করে নৌকার পাটাতনের নীচে জালের ভিতরে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় *১.০৬৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি কারেন্ট জাল* (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয় এবং চোরাচালানী মালামাল বহনের দায়ে নৌকাটিও আটক করা হয়। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ ০১০০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 


উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন কারেন্ট জাল এবং কাঠের নৌকা টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।  


লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)

মন্তব্যসমূহ