Type Here to Get Search Results !

জাতীয়

6/col-left/জাতীয়

ফা*রিহাকে ধ*র্ষ*ণে*র পর নৃ*শংস*ভা*বে হ*ত্যা!পরে ফেলে দেওয়া হয় মাদ্রাসার ড্রেনে

 


👨‍💼 টেকনাফ প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এক শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মধ্যরাতে মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয় মাদ্রাসার ড্রেনে। পরে অপহরণের নাটক সাজানোর জন্য ওই শিশুর পরিবারকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবী করেছিল।


টেকনাফের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসায় শিশুর সাথে বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আলী আহমেদের ছেলে হাফেজ মো এরফানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আটক করেছে র‍্যাব-১৫। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে মাদ্রারাসার ড্রেন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আটক এরফান ওই মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।


শুক্রবার রাত ১০টায় টেকনাফের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।


এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে ফারিহাকে অপহরণের অভিযোগ উঠে। ফারিহা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার সানা উল্লাহর মেয়ে এবং হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিল।


সংবাদ সম্মেলনে আটকের বরাত দিয়ে মেজর সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ থাকার সুবাধে এরফান ওই শিশুকে ফুসলিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে মাদ্রাসার কক্ষের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণের পর, হত্যা করে। এরপর এই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল।


র‍্যাব বলছে, এখন পর্যন্ত এরফানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে একাই নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে অন্যকেউ জড়িত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরফানের একার পক্ষে ধর্ষণের পর মরদেহ সরানো সম্ভব নয় দাবী করে স্থানীয়রা ঘটনার নেপথ্যের কারিগরদের বের করার দাবী জানান।


এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, অপহৃত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ফারিহার আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।


নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল ভিকটিমের মা জেসমিন আক্তার বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার আমার মেয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরে আমার কাছে মোবাইল করে মুক্তিপন হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.