টেকনাফে এক তরুণীর ৬ বছর ধরে শারীরিক ও অনৈতিক প্রেম!প্রেমিক আনসারুল আত্মগোপন

ডি.এন.এন: মোঃ আরাফাত সানি

কক্সবাজারের টেকনাফে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক তরুণী। (১৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা থেকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া ৪ নং এলাকার প্রেমিক আনসারুল আহমেদ এর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।  

প্রেমিক আনসারুল আহমেদ ওই গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই তরুণী টেকনাফ পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুইজনই দীর্ঘ ৬ বছর ধরে শারীরিক ও অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক আনসারুল পারিবারিক চাপের কারণে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর পিতা বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করছেন।   

ওই তরুণী জানান, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন হোটেলে আনসারুল আমাকে একাধিকবার শারীরিক ভাবে মিলন করে। 
সম্প্রতি বিষয়টি তার পরিবারও জেনে যায়। এরপর থেকেই আনসারুল বিয়ের জন্য বাড়িতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। বছর দেড়েক আগে তিনি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে। এর অগোচরে আরেকটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছে পরিবার তাই আনসারুল তার বাড়িতে আমাকে চলে আসতে হবে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে । তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই তরুণী।  

পলাতক থাকায় প্রেমিক আনসারুল আহমেদ এর সাথে বার-বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি এবং বাড়িটি টালা লাগানো।  

স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লাইলা বেগম জানান- দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক জের ধরে বিয়ের দাবিতে এক তরুণী আমাদের এলাকার আব্দু সালামের বাড়িতে এসেছে পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ফারুক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। সালিশে আব্দু সালাম তার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিবে না বলে জানিয়েছেন। তবে ২ লক্ষ টাকা বিনিময়ে মেয়েকে চলে যেতে বলেন। এতে মেয়ে’র পরিবার রাজি জারি হয়নি। 
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। মেয়েটিকে উদ্ধারের পুলিশকে বলা হয়েছে এবং পুলিশ যাবে। 

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জোবাইর সৈয়দ জানান, বিষয়টি আমি অবগত নয়। অভিযান দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান।
 

মন্তব্যসমূহ