মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মাওয়া পৌঁছালো ট্রেন। আর এর উদ্বোধন করেছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন,বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুতে এই ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে সেতুটি পূর্ণাঙ্গতা পেল।
দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ দশমিক ২০ কিলোমিটার পথে এ ট্রেন চলল।
ট্রেনের প্রথম চালক রবিউল ইসলাম বলেন,পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে আমি ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ভীষণ গর্ববোধ করছি।
দুপুর ১ টা ২২ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যাত্রা শুরু করে ২৫ কিলোমিটার গতিতে মাওয়া এসে পৌঁছায় বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে। এরমধ্যে মাত্র ছয় মিনিটে পার হয় পদ্মা। এ সময় ট্রেনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, রেল সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, স্থানীয় চারজন জনপ্রতিনিধি, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ট্রেনে বসেন। পরে মাওয়া পৌঁছে সংবাদ ব্রিফিং করেন রেলপথমন্ত্রী।
তিনি বলেন,আজ এক ঐতিহাসিক দিন। বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতু দিয়ে রেল চলল। আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করব। এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঠিক সময়ে রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বপ্নপূরণ করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত যাবে। এই প্রকল্প তিন ভাগে ভাগ করে এগোচ্ছি। ঢাকা- মাওয়া, মাওয়া- ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই তিন ভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বলেন,২০২৪ সালের জুনে কাজ শেষ করার কথা। এ সময়ে শেষ হলে প্রকল্প ব্যয় ব্যয় বাড়বে না।ভাড়া কেমন হতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,অন্যান্য রুটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন