বিজিবির পৃথক অভিযানে ৮২হাজার ইয়াবা বোঝাই নৌকা ও প্রাইভেট কারের চালক আটক

 

সৈয়দ আলম, টেকনাফ।


কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি জওয়ানদের পৃথক অভিযানে ৮২হাজার ইয়াবা বোঝাই কাঠের নৌকা ও প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। মাদক পাচারের দায়ে প্রাইভেট কারের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


সুত্র জানায়,১৯ডিসেম্বর ভোররাত ৪টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের টেকনাফ বিওপির চোরাচালান প্রতিরোধ টহল দল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিওপি হতে বিআরএম-৬ প্রায় ১কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বদিকে মিজ্জির জোড়া নামক স্থানে গিয়ে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলী অবস্থান গ্রহণের পর নাফনদীতে নৌটহল জোরদার করে। কিছুক্ষণ পর ৪জন ব্যক্তিকে ১টি কাঠের নৌকা নিয়ে ৩শ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিজ্জির জোড়ায় প্রবেশ করতে দেখে বিজিবি জওয়ানেরা দাড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে। তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে মিয়ানমার সীমান্তে চলে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌকাটি জব্দ করে তল্লাশী চালিয়ে নৌকার পাটাতনে অভিনব কায়দায় লুকানো ৬০হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করে। 


একই দিন সকাল ১০টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের শীলখালী অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বরত জওয়ানেরা দায়িত্ব পালনকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি প্রাইভেটকার (চট্টমেট্টো-খ-১১-০৫৭১) শীলখালী অস্থায়ী চেকপোস্টের নিকট আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরে উক্ত প্রাইভেটকার তল্লাশীকালীন চালকের আচরণ সন্দেহজনক এবং পূর্ব হতেই প্রাপ্ত তথ্যমতে সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার মিলে যাওয়ায় চালককে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সৈনিক দ্বারা তল্লাশী ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে উক্ত চালকের স্বীকারোক্তিতে প্রাইভেট কারের পিছনের সীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ২২হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে চালক টেকনাফ পুরান পল্লান পাড়ার রহমত উল্লাহর পুত্র মোঃ ইসামঈল (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া আটককৃত আসামী হতে মাদক পাচারে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।


টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন (বিজিবিএমএস) জানান, ইয়াবা বোঝাই প্রাইভেট কারসহ আটক আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা, প্রাইভেটকার এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীনের পাশাপাশি ইয়াবা বোঝাই কাঠের নৌকা জব্দের ঘটনায় সম্পৃক্ত চোরাকারবারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরের গোয়েন্দা কার্য্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ